আধুনিক রান্নাঘরের জন্য ইনফ্রারেড চুলা (Infrared cooker) এক বৈপ্লবিক সংযোজন। গ্যাস সিলিন্ডারের ঝামেলা, ঘন ঘন দাম বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি এড়াতে অনেকেই এখন এই বৈদ্যুতিক চুলার দিকে ঝুঁকছেন। এটি দেখতে যেমন মার্জিত, তেমনি এর ব্যবহারও বেশ সহজ। তবে, যেকোনো প্রযুক্তির মতোই, ইনফ্রারেড চুলারও কিছু ব্যবহারিক এবং আর্থিক অসুবিধা রয়েছে, যা কেনার আগে একজন ক্রেতাকে অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। এই ব্লগে আমরা ইনফ্রারেড চুলার অসুবিধা গুলোকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করব, যাতে আপনি একটি সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা পণ্যটি বেছে নিতে পারেন।
ইনফ্রারেড চুলার কার্যকারিতা: এটি কিভাবে তাপ উৎপন্ন করে?
প্রথমে, আসুন জেনে নিই ইনফ্রারেড চুলা কিভাবে কাজ করে। এর কার্যকারিতা অন্য যেকোনো বৈদ্যুতিক চুলার চেয়ে বেশ আলাদা। এই চুলাটি মূলত ইনফ্রারেড রশ্মি (Infrared radiation) ব্যবহার করে রান্নার পাত্রকে সরাসরি গরম করে। চুলার ভিতরে একটি শক্তিশালী হিটিং এলিমেন্ট (সাধারণত একটি হ্যালোজেন ল্যাম্প বা নিকেল-ক্রোমিয়াম তারের কুণ্ডলী) থাকে, যা বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে উত্তপ্ত হয়। এই উত্তপ্ত এলিমেন্ট থেকে নির্গত ইনফ্রারেড বিকিরণ সরাসরি চুলার উপরের গ্লাস সারফেস ভেদ করে পাত্রের তলদেশে পৌঁছে যায় এবং দ্রুত তাপ স্থানান্তর করে।
এই পদ্ধতিটি ইন্ডাকশন চুলার (Induction cooker) থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইন্ডাকশন চুলা শুধুমাত্র ফেরোম্যাগনেটিক (চৌম্বকীয় ধাতু) পাত্র গরম করতে পারে, যেখানে ইনফ্রারেড চুলা যেকোনো ধরনের পাত্র (যেমন—স্টেইনলেস স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, তামা, সিরামিক, কাঁচ বা এমনকি মাটির পাত্র) ব্যবহার করার স্বাধীনতা দেয়। এটি ইনফ্রারেড চুলার একটি বড় সুবিধা হলেও এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যা আমরা এবার বিস্তারিত আলোচনা করব।
ইনফ্রারেড চুলার প্রধান অসুবিধাগুলোর বিস্তারিত বিশ্লেষণ
এখানে ইনফ্রারেড চুলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যবহারিক অসুবিধা গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. উচ্চ বিদ্যুৎ খরচ: ইনফ্রারেড চুলা কি বিদ্যুৎ বেশি টানে?
এটি ইনফ্রারেড চুলার সবচেয়ে বড় এবং প্রায়শই আলোচিত অসুবিধা। অনেকেই প্রশ্ন করেন, ইনফ্রারেড চুলা কি বিদ্যুৎ বেশি টানে? এর উত্তর হলো, হ্যাঁ, এটি ইন্ডাকশন চুলার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। এর প্রধান কারণ হলো, তাপের অপচয় (Heat loss)।
ইনফ্রারেড চুলা তার হিটিং এলিমেন্ট থেকে ইনফ্রারেড রশ্মি নির্গত করে, যা পাত্রের তলদেশে তাপ স্থানান্তর করে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার সময় উৎপন্ন তাপের একটি বড় অংশ বাতাসে ছড়িয়ে যায়। চুলার উপরের কাচের সারফেস এবং এর চারপাশের বাতাসও গরম হয়ে ওঠে। এর ফলে চুলাটিকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য ক্রমাগত বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হয়। এটি গ্যাস বা ইন্ডাকশন চুলার মতো দক্ষ নয়, যেখানে তাপের অপচয় খুবই কম।
উদাহরণস্বরূপ, একটি ২০০০ ওয়াটের ইনফ্রারেড চুলা এক ঘণ্টা ব্যবহার করলে প্রায় ২ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। যদি আপনি প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা রান্না করেন, তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল প্রতি মাসে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে, যখন রান্নাঘর এমনিতেই গরম থাকে, তখন ইনফ্রারেড চুলার এই তাপ অপচয় ঘরকে আরও বেশি উত্তপ্ত করে তোলে। এটি বিদ্যুৎ খরচের পাশাপাশি গরমের সমস্যাও বাড়ায়। যারা বিদ্যুৎ সাশ্রয়কে প্রধান অগ্রাধিকার দেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় অসুবিধা।
২. তাপ উৎপাদন এবং শীতল হতে সময় লাগে: দক্ষতায় ঘাটতি
ইনফ্রারেড চুলা তাৎক্ষণিক তাপ (Instant heat) প্রদান করে না। এর হিটিং এলিমেন্ট গরম হতে এবং রান্নার পর ঠান্ডা হতে বেশ কিছুটা সময় নেয়। আপনি যখন চুলা চালু করেন, তখন হিটিং এলিমেন্টটি ধীরে ধীরে লাল হতে শুরু করে এবং কাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রায় পৌঁছাতে কয়েক মিনিট সময় নেয়। একইভানে, রান্না শেষ হওয়ার পর চুলাটি ঠান্ডা হতেও বেশ কিছু সময় লাগে।
এই অসুবিধার কারণে রান্নার সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ধরুন, আপনি কোনো খাবার উচ্চ তাপে ভেজে হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমাতে চান। ইনফ্রারেড চুলায় সেটি তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভব হয় না। আপনি তাপমাত্রা কমিয়ে দিলেও হিটিং এলিমেন্টটি ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়, ফলে পাত্রের তাপমাত্রা তাৎক্ষণিকভাবে কমে না। এটি বিশেষ করে এমন রান্নার জন্য সমস্যা তৈরি করে, যেখানে দ্রুত তাপ পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, যেমন—হালকা ভাজা বা সঁতে করা। এই সীমাবদ্ধতা রান্নার দক্ষতাকে প্রভাবিত করে এবং অনেক সময় খাবার পুড়িয়ে ফেলতে পারে।
৩. নিরাপত্তা ঝুঁকি: সারফেস অত্যধিক গরম হয়ে যায়
ইনফ্রারেড চুলার উপরের সিরামিক বা ক্রিস্টাল গ্লাস সারফেসটি রান্নার সময় অত্যন্ত গরম হয়ে যায়। এটি এতটাই গরম হয় যে, খালি চোখেও তা লাল হয়ে জ্বলতে দেখা যায়। এই গরম পৃষ্ঠে অসাবধানতাবশত হাত বা অন্য কোনো বস্তু স্পর্শ করলে গুরুতর পোড়া লাগতে পারে। বিশেষ করে ছোট শিশু এবং পোষা প্রাণীদের জন্য এটি একটি বড় বিপদ।
রান্না শেষ হওয়ার পরেও এই সারফেসটি দীর্ঘ সময় ধরে গরম থাকে। তাই চুলা বন্ধ করার পরেও সতর্ক থাকা জরুরি। ইন্ডাকশন চুলার সঙ্গে তুলনা করলে এটি একটি বড় পার্থক্য, কারণ ইন্ডাকশন চুলার সারফেস চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের মাধ্যমে শুধুমাত্র পাত্রকে গরম করে, সারফেস নিজে গরম হয় না। ইনফ্রারেড চুলার এই অসুবিধার কারণে নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন, যা অনেক ব্যবহারকারীর জন্য একটি চিন্তার কারণ।
৪. কাচের সারফেসের ভঙ্গুরতা এবং পরিষ্কারের অসুবিধা
ইনফ্রারেড চুলার মসৃণ কাচের সারফেসটি দেখতে সুন্দর হলেও এটি বেশ ভঙ্গুর। এর উপর ভারী পাত্র বা কোনো শক্ত বস্তু পড়ে গেলে কাচ ভেঙে যাওয়ার বা চিড় ধরার ঝুঁকি থাকে। একবার কাচ ভেঙে গেলে পুরো চুলাটিই অকেজো হয়ে যেতে পারে, কারণ এটি মেরামত করা কঠিন এবং ব্যয়বহুল। এই অসুবিধার কারণে ব্যবহারের সময় বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
এছাড়াও, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে কিছু সমস্যা রয়েছে। যদিও মসৃণ সারফেসটি মোছা সহজ, কিন্তু রান্নার সময় কোনো খাবার যদি গরম সারফেসে পড়ে যায়, তাহলে তা পুড়ে কঠিন দাগ তৈরি করে, যা পরিষ্কার করা কঠিন। এই পোড়া দাগগুলো দেখতেও খারাপ লাগে এবং সময়ের সাথে সাথে স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।
৫. ইনফ্রারেড চুলার দাম এবং প্রাথমিক বিনিয়োগ
ইনফ্রারেড চুলার দাম গ্যাস চুলার চেয়ে সাধারণত বেশি। যদিও এটি ইন্ডাকশন চুলার চেয়ে কিছুটা সাশ্রয়ী হতে পারে, তবে একটি ভালো মানের ইনফ্রারেড চুলা কিনতে প্রায় ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা বা তারও বেশি খরচ হতে পারে, যা অনেক পরিবারের জন্য একটি বড় প্রাথমিক বিনিয়োগ। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের (যেমন Gazi, Miyako, Vision, Walton) ইনফ্রারেড চুলার দাম ভিন্ন হয়। এই উচ্চ প্রাথমিক খরচ অনেক সময় ক্রেতাকে দ্বিধায় ফেলে দেয়। যদিও এটি গ্যাস সিলিন্ডারের মাসিক খরচের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী হতে পারে, কিন্তু এককালীন বড় অঙ্কের খরচ একটি বড় অসুবিধা।
৬. রান্নার ধীর গতি এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সীমাবদ্ধতা
ইনফ্রারেড চুলাকে সাধারণত দ্রুত রান্নার জন্য প্রচার করা হলেও, কিছু ক্ষেত্রে এটি গ্যাস চুলার চেয়ে ধীর হতে পারে। যেহেতু এটি তাপ অপচয় করে, তাই রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ সরাসরি পাত্রে পৌঁছাতে সময় নেয়। বিশেষ করে বড় পরিমাণে খাবার রান্না করতে বা পানি গরম করতে এটি গ্যাস বা ইন্ডাকশনের চেয়ে বেশি সময় নিতে পারে। রান্নার সময় তাপমাত্রা পরিবর্তন করতে না পারার অসুবিধা আগেই আলোচনা করা হয়েছে, যা রান্নার প্রক্রিয়াকে ধীর এবং কম নমনীয় করে তোলে।
৭. বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্ভরশীলতা: লোডশেডিং-এ অকেজো
বাংলাদেশের মতো লোডশেডিং-প্রবণ দেশে ইনফ্রারেড চুলা একটি বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। বিদ্যুৎ চলে গেলে এই চুলা সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যায়। রান্নার মাঝপথে বিদ্যুৎ চলে গেলে তা বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ অনির্ভরযোগ্য, সেখানে এটি প্রধান রান্নার উৎস হিসেবে ব্যবহার করা বাস্তবসম্মত নয়।
৮. স্বাস্থ্যগত দিক: বিকিরণ নিয়ে বিতর্ক
যদিও ইনফ্রারেড বিকিরণ ক্ষতিকারক নয় বলে মনে করা হয়, কিন্তু কিছু গবেষণায় উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির বিকিরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও ইনফ্রারেড চুলার বিকিরণ নন-আয়নাইজিং (non-ionizing), অর্থাৎ এটি শরীরের কোষের ক্ষতি করে না, তবুও দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ মাত্রার বিকিরণের প্রভাব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। তবে, এই চুলা খোলা শিখা বা কার্বন মনোক্সাইড নির্গত করে না বলে এটি গ্যাস চুলার চেয়ে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ইনফ্রারেড চুলা কি ভালো? – চূড়ান্ত বিবেচনা
নিচে কিছু ইনফ্রারেড চুলার দাম এর সাথে আপনাদের জন্য কিছু উদাহরণ সরুপ আমাদের কিছু প্রোডাক্ট দেওয়া হলোঃ
Nova Double Stove Infrared & Induction Cooker | NV 1215D-L
এই Nova Double Stove Infrared & Induction Cooker টির মুল্য মাত্র ৭৫০০/- টাকা

▶Buy Now
- Model: NV 1215D-L
- Color:Black & Orange
- Material:Glass
- Type:Infrared & Induction Cooker
- Function:Inverter System
- Fire Power:2200W
- Voltage:220-240
- Control Function:Touch
- Cooking Control:Digital Display
- Cooking Menus: 7
╰┈➤ প্রোডাক্টটির বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
Nova Double Stove Infrared & Induction Cooker | NV 1217D-L
এই Nova Double Stove Infrared & Induction Cooker এর মুল্য মাত্র ৭৭০০/- টাকা

▶Buy Now
- Model: NV 1217D-L
- Color:Black
- Material:Glass
- Type:Infrared & Induction Cooker
- Function:Inverter System
- Fire Power:2200W
- Voltage:220-240
- Control Function:Touch
- Cooking Control:Digital Display For Easy Cooking
- Cooking Menus: 7
╰┈➤ প্রোডাক্টটির বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
Bajaj Gold Infrared Cooker | Inverter Technology Electric Cooker | Save 85% Electricity
এই Bajaj Gold Infrared Cooker টির মুল্য মাত্র ৩৯০০/- টাকা

▶Buy Now
- Brand:Bajaj Gold
- Power: 2000W
- 220-240V, 50 Hz
- Working Temperature up to:650°C
- Tempered Glass Can Bear Temperature: 850°C
- Touch Control Inverter System
- Color: Black/Coffee/Blue/Purple/Red
╰┈➤ প্রোডাক্টটির বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
Marcel Infrared Cooker | MIR BS20
এই Marcel Infrared Cooker টির মুল্য মাত্র ৩৮৯০/- টাকা

▶Buy Now
- Brand: Marcel
- Model: MIR BS20
- Color: Black
- Weight: 1880gm
- Material: High-temperature sustainable glass
- Function: Five built-in functions and Timer options
╰┈➤ প্রোডাক্টটির বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
Miyako Smokeless And Energy Savings Infrared Cooker | ATC-22SS
এই Miyako Smokeless And Energy Savings Infrared Cooker টির মুল্য মাত্র ৪২০০/- টাকা

▶Buy Now
- Model: ATC-22SS
- Color:Black & Red
- Control:Touch Panel + Knob
- Body:Aluminium Alloy Body With A Grade Crystal Plate
- Power:2000W
- Power Setting:6
- Electricity Required: 220-240 Volt, 50 Hz
- Display:4 Digit Led Display
- Timer:4 Hour
- Accessories:Free Grill
╰┈➤ প্রোডাক্টটির বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
Niyama Osaka Japan Technology Infrared Cooker | 2000-Watt ( 3 Model )
এই Niyama Osaka Japan Technology Infrared Cooker টির মুল্য মাত্র ৩৭৯০/- টাকা

▶Buy Now
- Brand: Niyama
- Model No :NIC – 858 / 861 / 864
- Color: As Given Picture
- Shape:Rectangle
- Display:Colorful Digital Display
- Power Source: Corded Electric
- Heating Element:Nickel-Chrome Alloy
- Country Of Origin: Made in China
- Suitable for All Kinds of Cooking Pot
- Up to 85% Cost Saving Stove Top
╰┈➤ প্রোডাক্টটির বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
Niyama Osaka Japan Technology NIC 865 Infrared Cooker ( Premium Quality ) | 2000-Watt
এই Niyama Osaka Japan Technology NIC 865 Infrared Cooker টির মুল্য মাত্র ৩৬৯০/- টাকা

▶Buy Now
- Brand: Niyama
- Model No:NIC – 865
- Color: Maroon / Black
- Shape:Rectangle
- Display:Colorful Digital Display
- Power Source: Corded Electric
- Heating Element:Nickel-Chrome Alloy
- Country Of Origin: Made in China
╰┈➤ প্রোডাক্টটির বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
Vigo Infrared Cooker | 40A3 Hi Life
এই Vigo Infrared Cooker টির মুল্য মাত্র ৪৯৫০/- টাকা

▶Buy Now
- Model: 40A3
- Color:Black
- Control:Touch and knob
- Display and Real Power: 2200w
- Function:4 digital led display, Multi-functional
- Timer Setting:8 power/temperature levels for adjustment
- Material:High-quality black crystal plate (upper)+stainless iron(bottom)
╰┈➤ প্রোডাক্টটির বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
এখন প্রশ্ন হলো, ইনফ্রারেড চুলা কি ভালো? এর উত্তর নির্ভর করে আপনার জীবনধারা, বাজেট এবং অগ্রাধিকারের উপর।
সুবিধা:
- সর্বাধিক পাত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য: এটি যেকোনো ধরনের পাত্র ব্যবহার করার সুবিধা দেয়, যা ইন্ডাকশন চুলার তুলনায় একটি বড় সুবিধা।
- নিরাপত্তা: এতে খোলা শিখা না থাকায় গ্যাস লিকেজ বা আগুনের ঝুঁকি নেই।
- পরিবেশবান্ধব: এটি কোনো ধোঁয়া বা ক্ষতিকারক গ্যাস নির্গত করে না, ফলে রান্নাঘরের বাতাস পরিষ্কার থাকে।
- সহজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: মসৃণ গ্লাস সারফেস সহজেই মুছে পরিষ্কার করা যায়।
- পোর্টাবিলিটি: এটি সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যায়।
অসুবিধা:
- উচ্চ বিদ্যুৎ খরচ।
- গরম সারফেস থেকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
- তাপ উৎপাদনে সময় লাগা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধতা।
- কাচের সারফেসের ভঙ্গুরতা।
- বিদ্যুৎ না থাকলে অকেজো।
যদি আপনার এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল থাকে এবং আপনি গ্যাস সিলিন্ডারের ঝামেলা এড়াতে চান, তাহলে ইনফ্রারেড চুলা একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে, যদি বিদ্যুৎ সাশ্রয় আপনার প্রধান লক্ষ্য হয়, তাহলে ইন্ডাকশন চুলা বা অন্যান্য বিকল্প বিবেচনা করা উচিত।
ঘন ঘন জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
১. ইনফ্রারেড চুলার বিদ্যুৎ খরচ কত?
উত্তর: ইনফ্রারেড চুলার বিদ্যুৎ খরচ এর ওয়াট (wattage) এবং ব্যবহারের সময়ের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ১০০০ থেকে ২০০০ ওয়াটের ইনফ্রারেড চুলা প্রতি ঘণ্টায় ১ থেকে ২ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি ২০০০ ওয়াটের চুলা ১ ঘণ্টা চলে, তবে ২ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে। আপনার এলাকার বিদ্যুতের হার অনুযায়ী বিলের পরিমাণ গণনা করা যাবে।
২. ইনফ্রারেড এবং ইন্ডাকশন চুলার মধ্যে কোনটি ভালো?
উত্তর: এটি ব্যবহারের উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে। ইনফ্রারেড চুলার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি যেকোনো পাত্রে কাজ করে। অন্যদিকে, ইন্ডাকশন চুলা শুধুমাত্র ফেরোম্যাগনেটিক পাত্রে কাজ করে কিন্তু এটি তাপ অপচয় কম করে এবং দ্রুত গরম হয়, ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। নিরাপত্তায় ইন্ডাকশন চুলা বেশি ভালো, কারণ এর সারফেস গরম হয় না।
৩. ইনফ্রারেড চুলার আয়ুষ্কাল কত?
উত্তর: একটি ভালো মানের ইনফ্রারেড চুলা সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে, যদি এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় এবং নিয়মিত যত্ন নেওয়া হয়। তবে এর হিটিং এলিমেন্ট এবং গ্লাস সারফেসের স্থায়িত্ব অনেক কিছুর উপর নির্ভরশীল।
৪. ইনফ্রারেড চুলায় কি সব ধরনের হাড়ি-পাতিল ব্যবহার করা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, এটি ইনফ্রারেড চুলার সুবিধার মধ্যে অন্যতম। ইনফ্রারেড চুলাতে আপনি লোহা, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, তামা, কাঁচ, সিরামিক এবং মাটির পাত্র—সব ধরনের হাড়ি-পাতিল ব্যবহার করতে পারবেন।
৫. ইনফ্রারেড চুলা কি স্বাস্থ্যসম্মত?
উত্তর: হ্যাঁ, ইনফ্রারেড চুলা স্বাস্থ্যসম্মত। এটি কোনো ক্ষতিকারক গ্যাস (যেমন কার্বন মনোক্সাইড) বা ধোঁয়া উৎপন্ন করে না, যা গ্যাস চুলার ক্ষেত্রে হতে পারে। এটি রান্নাঘরের বাতাসকে পরিষ্কার রাখে।
৬. ইনফ্রারেড চুলা কি সরাসরি সকেটে লাগানো যায়?
উত্তর: ইনফ্রারেড চুলা চালানোর জন্য উচ্চ ক্ষমতার বিদ্যুৎ প্রয়োজন। তাই এটি সরাসরি সকেটে লাগানোর আগে সকেটের ওয়াটেজ (wattage) পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। যদি সকেটটি উচ্চ ওয়াটেজ সমর্থন না করে, তাহলে শর্ট সার্কিট বা সকেট পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। একটি ভালো মানের অ্যাডাপ্টার বা মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করা যেতে পারে, যা উচ্চ লোড নিতে সক্ষম।
৭. ইনফ্রারেড চুলা কি গরম হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, ইনফ্রারেড চুলা গরম হয়। এর উপরের সিরামিক গ্লাস সারফেসটি রান্নার সময় খুবই গরম হয়ে যায় এবং রান্নার পরেও বেশ কিছুক্ষণ গরম থাকে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
৮. ইনফ্রারেড চুলায় রান্না করতে কত সময় লাগে?
উত্তর: রান্নার সময় খাবারের ধরন, পরিমাণ এবং চুলার ওয়াটের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, এটি গ্যাস চুলার চেয়ে কিছুটা ধীর হতে পারে। তবে পানির মতো তরল দ্রুত গরম হয়।