ডাঃ জাহাঙ্গীর কবীরের পরামর্শ – সুস্থ থাকার নিয়মাবলী!

ডাঃ জাহাঙ্গীর কবীরের পরামর্শ – সুস্থ থাকার নিয়মাবলী!
১). রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমানো আবশ্যক। কারণ রাত ১০টা থেকে রাত ২টার মধ্যে শরীরের ফ্যাট বার্ন হয় এবং এই সময়ের ঘুম খুবই উপকারি শরীরের জন্য। রাত ১০টা থেকে মোট ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
২). সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা মধ্যে কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীরে রোদ লাগাতে হবে কারণ এই সময়ের রোদে ভিটামিন ডি বেশি থাকে।
৩). প্রতিদিন খালিপেটে বিশেষকরে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক্সারসাইজ করতে হবে।
৪). পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
৫). মানসিক প্রশান্তির চর্চা করতে হবে এটা নামাজ আদায়, কুরআন তেলাওয়াত করা এবং কুরআন তেলাওয়াত শুনার মাধ্যমেও করা যায়।
৬). ঘুমানোর ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার কমপ্লিট করা এবং সকল ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বন্ধ রাখা। খালি পেটে ঘুমানোর মাধ্যমে শরীরে কোষগুলো পরিষ্কার হয়।
৭). ফাস্টফুড, প্রসেসফুড, বাজে তেল পরিহার করতে হবে রান্নায় এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট ওয়েল ও ঘানিতে ভাঙা খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করা।
৮). দিনে ২ থেকে ২.৫লিটার পানি পান করা।
৯). খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে পানি পান করা এবং এক ঘণ্টা পর পানি পান করা খাবার খাওয়ার সময় পানি পান করা যাবে না এতে করে হজমের সমস্যা হবে। খাবার অবশ্যই চিবিয়ে খেতে হবে এমনভাবে চিবাবেন যেন মুখেই পানি হয়ে যায় পেটকে আর আলাদা করে হজম করতে না হয়।
১০). পর্যাপ্ত পরিমান সবুজ শাকসবজি খাওয়া।
১১). একটা মিল থেকে আর একটা মিলের ব্যবধান কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা রাখা। খাবার ঘন ঘন না খেয়ে পেটকে কিছু সময়ের জন্য বিশ্রামে রাখা।
১২). প্রতিদিন অথবা দুইদিনে একদিন একটা করে কচি ডাব খাওয়া।
১৩). প্রতিটা মিলে খাবারের মাইক্রো উপাদানগুলো ঠিক রাখা ।
১৪). সপ্তাহে অন্তত দুইদিন বিশেষকরে সোমবার ওবৃহস্পতিবার রোজা মাধ্যমে অটোফেজির বেনিফিট লাভ করা।
১৫). প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত খাবার থেকে শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিউপাদান দিতে না পারলে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট গ্রহন করা। যেমন -ডি সেফা,ই ক্যাপ +,ওএমজি -৩,আয়রন, ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা।
১৬). বিভিন্ন ধরণের এন্টিবায়োটিক, ব্যাথানাশক ঔষধ, বিবাহিত মহিলারা পিল সেবন না করা, গ্যাসের ঔষধ সেবন না করা। আমরা যতটা না মানুষ তারচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া আর এই ব্যকটেরিয়া আমাদের শরীরে মাকরসার জালের মত বিস্তার লাভ করতে সাহায্য করে গ্যাস্টিকের ঔষধ। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে আমরা খাওয়ার আগে আপেল সিডার ভিনেগার, লেবু ওআদা কুসুম গরম পানিতে খাব এবং একটা করে এক্টেরিয়া খাব যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
লেখাগুলো সংগৃহীত – ডঃ জাহাঙ্গীর কবির স্যারের বিভিন্ন ভিডিও থেকে।